আপনি আচরি ধর্ম…

পৃথিবীর অন্যতম আর্দ্র জলবায়ুর দেশ হওয়ায় এমনিতেই এখানে তাপমাত্রার তুলনায় গরম অনুভূত হয় বেশি, সেই সঙ্গে হয় প্রচুর ঘাম। এমন অবস্থায় এ দেশে সারা বছর স্যুট-টাই পরাটা কতটা বাস্তবসম্মত সে প্রশ্ন তোলাই যায়। কিন্তু সারাক্ষণ ‘স্যুটেড-বুটেড’ না থাকলে যেন আমাদের মন্ত্রী- কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীদের প্রেস্টিজই থাকে না। এমন কেতাদুরস্ত হয়ে চলাফেরা করাটা একদিকে যেমন ভোগবাদী ও বিলাসী প্রবণতার পরিচায়ক, অন্যদিকে এর জন্য গাড়িতে, বাড়িতে, অফিসে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এই এয়ার কন্ডিশনার চালাতে যে-বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাগে তা উৎপাদন হয় প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে। বিশ্বে এই জীবাশ্ম জালানির মজুদ ফুরিয়ে আসছে ক্রমেই।…

Continue reading

Leave a comment

Filed under Uncategorized

বেফাঁস বচন, অতিকথন বা সত্যভাষণ বনাম রাজনীতি

জনজীবনে ক্রমবর্ধমান দুর্ভোগের প্রেক্ষাপটে রাজনীতির মাঠ তেঁতে ওঠার মধ্যেই সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো ব্যক্তি এমন অসংলগ্ন মন্তব্য করে বসেন যা কি না সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে রসিকতার শামিল। এসব মন্তব্য বেফাঁস নাকি অতিকথন নাকি সত্যভাষণ সে বিচারে না গিয়েও বলা যায় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে কষ্টে থাকা সাধারণ মানুষকে ওগুলো ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে বিদ্ধ করে। বেফাঁস বা বিতর্কিত মন্তব্যে এগিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।…

Continue reading

Leave a comment

Filed under Uncategorized

পরিত্রাণ সহজ নেট মিটারিং ও তুষ বিদ্যুতে

কম সময়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ ছিল দেশে। তুষ থেকে সস্তায় সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপায় বাংলাদেশেই উদ্ভাবিত হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিলও। এখনো অব্যাহত আছে কি-না জানা যায়নি। তুষ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকারের তেমন বড় অঙ্কের বিনিয়োগেরও প্রয়োজন হতো না। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দিয়েই এ ধরনের প্লান্ট চালু করা যায়।… সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ তথা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজ পদ্ধতি হলো নেট মিটারিং বা রুফটপ সোলার ও জাতীয় গ্রিডের সমন্বিত ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেলের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো হয় জাতীয় গ্রিডের। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক নিজ স্থাপনায় স্থাপিত নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক সিস্টেমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজে ব্যবহার করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করেন। এভাবে সরবরাহ করা বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করা হয় পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে।…

Continue reading

Leave a comment

Filed under Uncategorized

নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার জরুরি

রাজনীতির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি পক্ষ একটিমাত্র ইস্যুর বাইরে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে যেন কোনো আলোচনায়ই আগ্রহী নয়। এমন প্রেক্ষাপটে ইসির চলমান সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলোকেও দেখা যেতে পারে বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনের একটি সূত্র হিসেবে।

নির্বাচন-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্যও দরকার নির্বাচন-ব্যবস্থার আমূল সংস্কার। সেই সংস্কার নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য চাই রাজনৈতিক উদ্যোগ এবং সে লক্ষ্যে আলোচনা। আর সে আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা হতে পারে সংখ্যানুপাতি প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা; অর্থাৎ নির্বাচনে যে-দল যত শতাংশ ভোট পাবে সে-দল জাতীয় সংসদে তত শতাংশ হারে প্রতিনিধি দেবে। …

Continue reading

Leave a comment

Filed under Uncategorized

বিপন্ন পৃথিবী (দ্বিতীয় সংস্করণ)

Leave a comment

Filed under Environment

জামায়াতের বিচারপথে এ কোন অশুভ ছায়া?

মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের লক্ষ্যে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েই যেন মিলিয়ে যেতে বসেছে। গত ১৪ মে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দল বা প্রসিকিউশনের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, এ মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হতে পারে। জাতির জন্য এটি একটি সুসংবাদই ছিল বটে। কিন্তু ওই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সপ্তাহ না পেরুতেই একটি দুঃসংবাদ জাতিকে হতাশায় ডুবিয়ে দিতে বসেছে। রাষ্ট্রপক্ষ বা প্রসিকিউশনের যে আইনজীবীদলটি জামায়াতের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ তৈরির কাজ করছিল, তারা সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রসিকিউশনেরই একাংশের হস্তক্ষেপে। এ নিয়ে এখন চলছে দুই পক্ষের বাদানুবাদ। এ দ্বন্দ্বের ডামাডোলে আড়ালে থেকে যেতে পারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটি হলো- জামায়াতের বিচারে আইনের ফাঁক। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন-১৯৭৩ সংশোধন করে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের বিধান যুক্ত করা হলেও অপরাধী সংগঠনের শাস্তি কী হবে, তা আইনে উল্লেখ নেই। Continue reading

Leave a comment

Filed under Bangladesh, Trial of crimes against huminity

পথহারা এরশাদের কথায় পথের দিশা

Ershadজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, নির্বাচনের প্রশ্নে তিনি পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। নির্বাচনে অংশ নিলে তাঁকে সবাই বেইমান বলবে। আর নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এরশাদ বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি দিশেহারা। কী হবে, এই ভেবে তিনি ‘বিনিদ্র রজনী’ কাটাচ্ছেন। এরশাদ বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তর হয় তিনভাবে। নির্বাচন, সশস্ত্র সংগ্রাম ও মিলিটারি ক্যুর মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে সেনাসদস্যরা হত্যা করেছিল, মোশতাককে সেনাসদস্যরা উত্খাত করেছিল। সাত্তারকে সরিয়ে আমি এসেছিলাম। এরপর আর কোনো ক্যু হয়নি। ক্ষমতায় যেতে হবে ভোটের মাধ্যমে। এখন মহাজোটে আছি। মহাজোটে থেকে নির্বাচন করলে লোকে বেইমান বলবে। বেইমান হয়ে আমি মরতে চাই না। আবার নির্বাচনে অংশ না নিলে কী হবে, আমরা জানি না। উভয় সংকট।’
নির্বাচনের প্রশ্নে এরশাদ পথ হারিয়ে ফেলার কথা বললেও তার ওই বক্তব‌্যের মধ্যেই পথের দিশা দেখিয়েছেন তিনি। তার কথা থেকে স্পষ্ট যে ‘দেশদরদী’ এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেবেন, কারণ তা না হলে যে ‘দেশের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত’!

Leave a comment

Filed under Bangladesh, Politics

গণহত্যাকারীদের নিয়ে কেন এ মায়াকান্না?

একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত আটটি মামলার রায় হয়েছে। এ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত দুটি ট্রাইব্যুনাল পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড, একজনকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদের মধ্যে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার সাজা যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল আলীমের মৃত্যুদণ্ড না হলেও দুটি মামলার রায়েই ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তাদের অপরাধও মৃত্যুদণ্ডযোগ্য। তবে আসামিদের বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। Continue reading

Leave a comment

Filed under Trial of crimes against huminity

স্কাইপ কেলেঙ্কারির তদন্ত না হওয়ায় নতুন কেলেঙ্কারি

বছর খানেক আগে ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে। এক নম্বর ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সঙ্গে প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞের কথোপকথন গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর দাবি উঠেছিল, ওই কথোপকথন ফাঁস হওয়ার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা অনুসন্ধান করা হোক। কিন্তু এ নিয়ে তদন্তের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। সরকারি মহল থেকে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, ওই কথোপকথন ফাঁস হয় দেশের বাইরে থেকে। যদিও তখন বিচারপতি নিজামুল হকের কম্পিউটারও হ্যাক করা হয়েছিল। হ্যাক করা ইমেইলসহ বিভিন্ন তথ্য তখন ফাঁস করা হয় ট্রাইব্যুনাল লিকস নামের একটি ব্লগে, যেটিতে এবারও ফাঁস করা হলো সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার রায়ের খসড়া। এ থেকে ধারণা করা যায়, দুটি ঘটনাই একই মহল ঘটিয়েছে। কাজেই আগের ঘটনাটির বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে এবারের ঘটনা সংঘটিত করা কঠিন হতো। Continue reading

Leave a comment

Filed under Bangladesh, Corruption, Trial of crimes against huminity

সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করার নিষ্ফল চেষ্টা সাকার

S Q injuredমুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দেশে ছিলেন না- এ কথা প্রমাণ করার হাজারো চেষ্টা করেছেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী)। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে সাকার সেই কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সাকা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। Continue reading

Leave a comment

Filed under Bangladesh liberation war, Crimes against huminity, War crimes